বর্তমান বাংলাদেশে ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তার মধ্যে ‘নগদ’ অন্যতম একটি সেবা, যা সরকারী ডাক বিভাগের অংশীদারিত্বে পরিচালিত হচ্ছে। নগদের মাধ্যমে খুব সহজেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টাকা পাঠানো, গ্রহণ, বিদ্যুৎ বিল দেওয়া, মোবাইল রিচার্জসহ আরও অনেক কাজ করা যায়। ২০২৫ সালে এসে নগদ একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া আরও সহজ ও আধুনিক হয়েছে, যেন দেশের প্রতিটি নাগরিক সহজে এই ডিজিটাল আর্থিক সেবার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
বর্তমানে অধিকাংশ ব্যাংকিং সুবিধা নগদের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে, যা গ্রাম ও শহর—উভয় স্থানের মানুষের জন্য উপযোগী। তাই যারা এখনো নগদ একাউন্ট খোলেননি, তাদের জন্য এ বছর একাউন্ট খোলার নিয়ম, প্রয়োজনীয়তা ও সুবিধাগুলো জেনে নেওয়া জরুরি।
যা যা থাকছে
২০২৫ সালে নগদ একাউন্ট খোলার সহজ উপায়
নগদ একাউন্ট খোলার জন্য এখন আর ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। নিচের কয়েকটি উপায়ে আপনি সহজেই একটি নগদ একাউন্ট খুলতে পারবেন:
-
USSD কোড ব্যবহার করে: যে কোনো মোবাইল থেকে *167# ডায়াল করে সহজেই একাউন্ট খোলা যায়।
-
নগদ অ্যাপ দিয়ে: Google Play Store বা Apple App Store থেকে ‘Nagad’ অ্যাপ ডাউনলোড করে, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) স্ক্যান ও একটি সেলফি দিয়ে একাউন্ট খোলা যায়।
-
নগদ অফিসিয়াল পয়েন্ট/এজেন্টের মাধ্যমে: কাছাকাছি কোনো নগদ এজেন্টের দোকানে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে খুব সহজেই একাউন্ট খোলা সম্ভব।
নগদ একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
নগদ একাউন্ট খোলার জন্য কিছু মৌলিক তথ্য ও ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়। ২০২৫ সালে একাউন্ট খোলার জন্য যেগুলো দরকার:
-
জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) – অবশ্যই আসল ও বৈধ হতে হবে।
-
ব্যবহারযোগ্য মোবাইল নম্বর – যেটি নগদ একাউন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
-
একটি স্পষ্ট ছবি বা সেলফি – অ্যাপ দিয়ে একাউন্ট খোলার সময় প্রয়োজন হয়।
-
জরুরি ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন বা পাসপোর্টও গ্রাহ্য হতে পারে, বিশেষ করে নতুন ভোটারদের ক্ষেত্রে।
নগদ একাউন্ট খোলার সুবিধাসমূহ
নগদ একাউন্ট খোলার পর আপনি যেসব সুবিধা পাবেন তা নিম্নরূপ:
-
ফ্রি একাউন্ট খোলা এবং বিনা চার্জে ব্যালেন্স চেক।
-
কম খরচে টাকা পাঠানো ও উত্তোলন – নগদে লেনদেন খরচ তুলনামূলক কম।
-
ইন্টারনেট ছাড়াও কাজ করে – *167# ব্যবহার করে লেনদেন সম্ভব।
-
সরকারি ভাতা ও উপবৃত্তি গ্রহণে সহজ মাধ্যম – যেমন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, শিক্ষাবৃত্তি ইত্যাদি।
-
মোবাইল রিচার্জ, বিল পরিশোধ, QR কোডে পেমেন্ট – নগদ অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই এসব সুবিধা পাওয়া যায়।
শেষ কথা
২০২৫ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে নগদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম আগের চেয়ে অনেক সহজ, আধুনিক ও গ্রাহকবান্ধব হয়ে উঠেছে। যারা এখনো নগদ একাউন্ট খোলেননি, তারা দ্রুত এটি খুলে মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেনকে সহজ ও নিরাপদ করতে নগদের মতো সেবা ব্যবহার করা সময়ের দাবি।
