বর্তমান সময়ে অনেকেই চাকরির পরিবর্তে নিজে কিছু শুরু করার কথা ভাবছেন। কিন্তু অনেক সময় পুঁজি স্বল্পতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তবে আশার কথা হলো—কম মূলধন দিয়েও আপনি লাভজনক ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মাত্র ২০ হাজার টাকায়ও এমন অনেক ব্যবসা শুরু করা সম্ভব, যা থেকে ধীরে ধীরে ভালো আয় করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ২০ হাজার টাকায় শুরু করা যায় এমন ২৫টি সম্ভাবনাময় ব্যবসার আইডিয়া।
যা যা থাকছে
১. চা বা কফির স্টল
- ছোটখাটো একটি মোবাইল চা বা কফির দোকান খুব কম খরচে শুরু করা যায়। ব্যস্ত এলাকায় ভালো আয়ের সম্ভাবনা থাকে।
২. ফাস্টফুড ব্যবসা
- সিঙ্গারা, সমুচা, পুরি, বার্গার বিক্রি করে দৈনিক লাভ করা সম্ভব। চাহিদা সর্বত্র।
৩. মোবাইল রিচার্জ এবং বিকাশ এজেন্ট
- সিম বিক্রি, রিচার্জ, বিকাশ, নগদ, রকেট সেবা দিয়ে উপার্জন করা যায়।
৪. ছোট পরিসরে স্টেশনারি দোকান
- স্কুল, কলেজের আশেপাশে স্টেশনারি দোকান শুরু করা খুবই লাভজনক।
৫. অনলাইন প্রোডাক্ট রিসেলিং
- ফেসবুক বা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে হোলসেল থেকে পণ্য কিনে বিক্রি করুন।
৬. হস্তশিল্প পণ্যের ব্যবসা
- হাতের তৈরি পণ্য যেমন চুড়ি, মালা, শো-পিস ইত্যাদি অনলাইনে বা হাটে বিক্রি করা যায়।
৭. কসমেটিকস বিক্রির দোকান
- নারীদের প্রসাধনী পণ্য চাহিদাসম্পন্ন। ছোট দোকান বা ঘর থেকে শুরু করা যায়।
৮. ফেসবুক পেইজ মার্কেটিং সার্ভিস
- যারা ডিজিটাল মার্কেটিং জানেন, তারা অন্যদের ফেসবুক পেইজ ম্যানেজ করে ইনকাম করতে পারেন।
৯. টেইলারিং / সেলাই কাজ
- সেলাই মেশিন ও কিছু কাপড় কিনে শুরু করতে পারেন, বাড়ি থেকে কাজ করা সম্ভব।
১০. ইউটিউব কন্টেন্ট ক্রিয়েশন
- ২০ হাজার টাকায় মোবাইল, লাইট, মাইক্রোফোন কিনে ভিডিও তৈরি শুরু করা যায়।
১১. প্রিন্টিং ও ফটোকপি সার্ভিস
- ছোট প্রিন্টার, কাগজ ও ল্যামিনেটর নিয়ে শুরু করতে পারেন, অফিস বা স্কুলের পাশে উপযুক্ত স্থান।
১২. মোবাইল কভার ও অ্যাক্সেসরিজ বিক্রি
- মোবাইল কভার, চার্জার, হেডফোন প্রভৃতি পণ্য অনলাইনে বা দোকানে বিক্রি করে আয় সম্ভব।
১৩. used phone buy-sell
- পুরনো মোবাইল কেনা-বেচা করে ভালো লাভ করা যায়।
১৪. অনলাইন কোচিং বা টিউশন
- বিশেষ কোনো বিষয়ে দক্ষ হলে অনলাইন বা বাসা থেকে ক্লাস নিতে পারেন।
১৫. ডিম ও ব্রয়লার মুরগির খুচরা বিক্রি
- হাট বা লোকাল মার্কেটে ডিম ও মুরগি বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায়।
১৬. নার্সারি ও গাছের চারা বিক্রি
- বাড়ির ছাদে ছোট চারা ও গাছ বিক্রি করে আয় করা সম্ভব।
১৭. গ্রাফিক ডিজাইন সার্ভিস
- কম্পিউটার থাকলে Canva বা Photoshop ব্যবহার করে ডিজাইন করে বিক্রি করতে পারেন।
১৮. ই-কমার্স ডেলিভারি সার্ভিস
- লোকাল ডেলিভারি সার্ভিস শুরু করে হোম ডেলিভারির কাজ করা যায়।
১৯. পোষা প্রাণীর খাদ্য ও সরঞ্জাম বিক্রি
- পোষাপ্রেমী মানুষের জন্য খাদ্য, খেলনা, সাবান ইত্যাদি বিক্রি করুন।
২০. হোমমেড খাবার সরবরাহ
- অফিস বা ছাত্রাবাসে রান্না করা খাবার সরবরাহ করে ভালো আয় সম্ভব।
২১. লোকাল ট্রান্সপোর্ট সেবা (রিকশা/ইজিবাইক)
- ব্যবহৃত রিকশা বা ইজিবাইক কিনে চালাতে পারেন বা ভাড়া দিতে পারেন।
২২. কাচা মশলা বা গ্রোসারি আইটেম বিক্রি
- গ্রোসারি বা মশলার খুচরা বিক্রি শুরু করতে পারেন।
২৩. লন্ড্রি ও ইস্ত্রি সার্ভিস
- বাড়ি থেকে কাপড় ধোয়া ও ইস্ত্রি করার সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারেন।
২৪. ফুলের তোড়া তৈরি ও বিক্রি
- ইভেন্ট বা অনলাইন অর্ডার অনুযায়ী ফুলের তোড়া তৈরি করুন।
২৫. Used Book Business
- পুরনো বই কিনে, সাজিয়ে ও অনলাইনে বিক্রি করে লাভ করা যায়।
মাত্র ২০ হাজার টাকার মতো সামান্য মূলধন দিয়ে ব্যবসা শুরু করা অনেকের কাছে অসম্ভব মনে হলেও, বাস্তবে এটি সম্ভব। প্রয়োজন কেবল সঠিক পরিকল্পনা, ধৈর্য এবং সময়ের সঠিক ব্যবহার। আপনি যদি উদ্যোক্তা হতে চান, তবে আজ থেকেই শুরু করতে পারেন এই আইডিয়াগুলোর যেকোনো একটিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা। ধাপে ধাপে সফলতার দ্বার খুলে যাবে।