মোবাইল চার্জার তৈরির ব্যবসা শুরু করতে বিনিয়োগ, খরচ, মূল্য , সুবিধা, অসুবিধা, উৎপাদন প্রক্রিয়া, মেশিনের দাম, সার্কিট, কাঁচামাল ইত্যাদি নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করবো।
আসসালামু আলাইকুম। বর্তমান বিশ্বে আপনি যদি একটি ব্যবসা শুরু করার প্লানিং করছেন, তাহলে এই মোটিভেশান টি আপনার জন্য।আজকের টপিক টি হলো মোবাইল চার্জার তৈরির বিজনেস।
সময় ও যুগ পাল্টিয়েছে তাই সবরকমের কাজ ডিজিটাল আকারে হয়ে থাকে। যার মধ্যে আমারা সবাই ঘরে ঘরে মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে থাকি যা প্রয়োজনও অনেক বেশি। মোবাইল ফোন যত বেশি ব্যবহার করবে তত বেশি চার্জ লাগবে।
মোবাইল চাহিদা বাড়ানোর সাথে সাথে দেখা যায় মোবাইল চার্জারের চাহিদাও অনেক বেড়ে গেছে। অতএব বলা যায় আপনি চাইলে এই বিজনেস টি শুরু করতে বা বেছে নিতে পারেন, কারণ এব্যবসায় প্রচুর লাভ হয়।
যা যা থাকছে
মোবাইল চার্জার তৈরির বিজনেস এর জন্য বাজার গবেষণা।
মোবাইল চার্জার উৎপাদন বিজনেস এর জন্য বাজার গবেষণা করা। বর্তমানে এর চাহিদা প্রচুর। কারণ সবার হাতেই স্মার্টফোন রয়েছে, মানুষ অনেক স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে। শহর কিংবা গ্রাম সব জায়গায় এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যখন কারো মোবাইলের চার্জ থাকে না তখনই চার্জারের প্রয়োজন হবে। সেই সময়ে চার্জার কেনার চাহিদা বাড়ে।
আরো জানুনঃ ফুড ট্রাকের ব্যাবসা থেকে কিভাবে লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়।
বিজনেস এর বিশেষ টপিক হলো এই বিজনেস কোনো নির্দিষ্ট সময়ে চলে না বরং যে কোনো সময়ে চলতে পারে। আপনি এখান থেকে কিছুটা ধারণা পাবেন যে বাজারে এই বিজনেস এর চাহিদা কতটুকু। আপনি চাইলে বছরের যে কোনো সময়ে বা যে কোনো মাসে এটা শুরু করতে পারেন।
কিভাবে মোবাইল চার্জার বিজনেস শুরু করবেন।
মোবাইল চার্জারের বিজনেস শুরু করতে হলে আপনার কোন বিশেষ যোগ্যতার দরকার নেই, তবে কিছু কথা মোবাইল চার্জারে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ গুলো সম্পর্কে আপনার জ্ঞান থাকা খুবই প্রয়োজন। আপনি যদি চান 2 ধাপে মোবাইল চার্জারের ব্যবসা করতে পারেন।
১) নিজের মাধ্যমে
আপনার যদি মোবাইল চার্জার উৎপাদন করার জ্ঞান থাকে তাহলে মার্কেট থেকে যে সমস্ত ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ লাগে, সেগুলো বাসায় ক্রয় করে আনুন। ঘরে বসে নিজেই তৈরি করে ফেলুন আপনার ব্র্যান্ডের নাম দিয়ে যা ভালো মুনাফায় মার্কেটে বিক্রি করতে পারবেন।
২) কোম্পানির সাথে চুক্তির এর মাধ্যমে:-
এই ক্ষেত্রে আপনি চাইলে কোনো মোবাইলের যন্তপাতি ক্রয় না করে, কোন মেশিন ইনস্টল না করেই যেকোনো মোবাইল চার্জার তৈরিকারি কোম্পানির সাথে চুক্তি করে। তাদের মাধ্যমে আপনার পছন্দের ব্র্যান্ডের নাম দিয়ে মার্কেটে চার্জার বিক্রি করতে পারবেন।
আপনি চাইলে আপনি আরো অন্যান্য এক্সেসরিজ নিজের ব্র্যান্ডের নাম দিয়ে তৈরি করে তা মার্কেটে বিক্রি করতে পারেন।
মোবাইল চার্জার বিজনেস এর জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স
মোবাইল চার্জার বিজনেস এ আপনার ব্র্যান্ডের নাম দিতে চান তাহলে আপনাকে ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করা লাগবে। এর কারণ হলো যদি কোনো পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা হয়ে থাকে তাহলে তার লোক এবং ব্র্যান্ডের নাম অনন্য ইনফরমেশন দেওয়া, কপিরাইট কাজ করে না এতে। এজন্য আপনাকে অনন্য নাম ও লোকের জন্য এই লাইসেন্সটি লাগবে। তাছাড়া আপনি যদি ইন্ডিয়া থাকেন তাহলে এই বিজনেস এর জন্য অবশ্যই GST রেজিস্ট্রেশন করা লাগবে।
মোবাইল চার্জার বিজনেস এর মোট খরচ
মোবাইল চার্জারের বিজনেসের বিনিয়োগ মোট ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ লাগতে পারে। কারণ চার্জার তৈরির ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। এছাড়াও আপনার ব্র্যান্ড নিবন্ধন করতে একটি ফি দিতে হবে।
মোবাইল চার্জার বিজনেসের লাভ
মোবাইল চার্জারের চাহিদা বেশ ভালো থাকায় এই বিজনেসে লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। অর্থাৎ এই বিজনেস থেকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা লাভ পারবেন প্রতি মাসে।
মোবাইল চার্জার বিজনেস এর বিপণন।
মোবাইল চার্জার বিজনেসে বিপণনের প্রয়োজন হয় কারণ লোকজনেরা আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কিত জানবে শুনবে তবেই তারা আপনার এই প্রডাক্ট ক্রয় করতে সক্ষম হবে।
এজন্য আপনাকে কাগজ, টিভি ইত্যাদিগুলোতে বিজ্ঞাপনের ব্যাবস্থা করতে হবে। আপনার ব্র্যান্ডকে যদি একটি ভালো এবং সেরা মানের ব্র্যান্ড করতে চান তাহলে অবশ্যই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি প্রচার করুন।
মোবাইল চার্জার বিজনেস এর ঝুঁকি।
মোবাইল চার্জার বিজনেসে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে। ঝুকি কম বেশি সব বিজনেস এই থাকে। কারণ মোবাইল চার্জার তৈরির প্রক্রিয়ায় যদি একটি ভুল আপনার গ্রাহককের মূল্য দিতে পারে এবং এটা অনেক ক্ষতি করতে পারে আপনাকে। তাই আপনার উচিত বিজনেসের জন্য ভালো মানের চার্জার তৈরি করা।
এইভাবে আপনি চাইলে ঘরে বসেও মোবাইল চার্জার তৈরি করতে পারেন এবং ভালো মুনাফা অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই বিজনেসে লাখ টাকা আয় করার সেরা সুযোগ।
ফাক
প্রশ্নঃ মোবাইল চার্জার বিজনেস কি?
প্রশ্নঃ মোবাইল চার্জারের বিজনেস কিভাবে করবেন?
১) যন্ত্রাংশগুলো ক্রয় করে নিজেই চার্জার তৈরি করতে পারেন।
২) কোম্পানির সাথে লেনদেন করে বিজনেস শুরু করতে পারেন।
প্রশ্নঃ মোবাইল চার্জার বিজনেসে কেমন খরচ হবে?
প্রশ্নঃ মোবাইল চার্জার ব্যবসায় কত লাভ হয়?
প্রশ্নঃ মোবাইল চার্জার তৈরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ কোথায় পেতে পারি?
শেষ বক্তব্য ঃ–
পরিশেষে বলি মোবাইল চার্জার বিজনেসটি আপনারা মন দিয়ে পড়তে থাকুন বুঝতে থাকুন তাহলে আপনারা অবশ্যই এক সময় সফল হবেন ইনশাআল্লাহ। এবং চেষ্টা করুন এভাবে বিজনেস করার জন্য। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।