সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যাংক গুলো তাদের গ্রাহকদের বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে আসছে। তাদের বিভিন্ন সুবিধার মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা অন্যতম। প্রত্যেক ব্যাংকের গ্রাহকদের অবশ্যই ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ জেনে নেওয়া উচিৎ।
আজ আমরা জনবো ক্রেডিট কার্ড কি? এর ব্যবহারের সুবিধা, ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিলে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন ? , ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের অফার সূমহ, ইস্টার্ন ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক , ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড, এনসিসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক , মার্চেন্টাইল ব্যাংক , আইএফআইসি ইত্যাদী ব্যাংকের ক্রেডিট কাডের অফার , সুদের হার ইত্যাদী নিয়ে আলোচনা করবো।
যা যা থাকছে
ক্রেডিট কার্ড কি | Credit Card In BD
ক্রেডিট কার্ড হচ্ছে কোনো ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদান করা একটি কার্ড। ক্রেডিট কার্ড হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে আপনি ব্যাংক থেকে টাকা ঋণ করেন। এবং তা আপনার প্রয়োজন অনুসারে ব্যাবহার করেন। যেই টাকা আপনাকে ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হয় তাকে ক্রেডিট লিমিট বলে।
আপনি আপনার ক্রেডিট লিমিট (ঋণের পরিমাণ) পর্যন্ত খরচ করতে পারবেন। আপনার ক্রেডিট কার্ডের লিমিট নির্ধারিত হবে আপনার মাসিক আয়ের উপর। আপনার যেই ব্যাংকের একাউন্ট থাকবে আপনি সেই ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ডটি সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনাকে ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ঋণ দিবে।
আরো জানুনঃ অগ্রণী ব্যাংক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা সূমহ
বর্তমান সময়ে ব্যাংকিং ব্যাবস্থার মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে অনলাইন ব্যাংকিং। অনলাইন ব্যাংকিং এমন এক সুবিধা যে গ্রাহক যখন ইচ্ছে তখনই লেনদেন, পেমেন্ট ছাড়াও অন্যান্য কার্যক্রম খুব সহজে এবং অল্প সময়ে সম্পন্ন করতে পারে। ক্রেডিট কার্ড হচ্ছে অনলাইন ব্যাংকিং এর আওতাভুক্ত।
আপনি যখন চাইবেন তখনি এটিএম বুথ থেকে খুব দ্রুত টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আপনি কোনো লেনদেন করতে চান কিন্তু ব্যাংকের ঝামেলা অথবা সময় হচ্ছে না সেক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড দ্বারা আপনি মুহূর্তের মধ্যে টাকা লেনদেন করতে পারবেন। কোনো কিছু কিনে তার পেমেন্ট, রেষ্টুরেন্ট অথবা হোটেলের বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
আরো জানুনঃ 2022 সালে স্টুডেন্ট লোন কীভাবে নিবেন ?
তাছাড়া আপনি ক্রেডিট কার্ড ব্যাবহার করলে বিভিন্ন রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ক্যাশ ব্যাক সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি আপনার ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে পারবেন। অনেকেই ক্যাশ টাকা নিয়ে ঘুরতে পছন্দ করে না। আবার অনেক বেশি টাকা নিয়ে চলাফেরাও নিরাপদ নয়।
সেক্ষেত্রে সাথে ক্রেডিট কার্ড থাকা হচ্ছে সবচেয়ে ভালো উপায়। ক্রেডিট কার্ড খুবই পাতলা এবং ছোটো একটি কার্ড। যে কার্ড বহন করার জন্য আপনার কোনো বাড়তি জায়গা অথবা ঝামেলার মধ্যে পড়তে হবে না। এই জন্যই বর্তমানে ক্রেডিট কার্ড খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের নিয়ম
আপনি যদি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কোনো মাসের ১ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত টাকা খরচ করেন তবে আপনাকে পরের মাসের ১৪ তারিখ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে সেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এবং আপনি যদি মাসের ১ তারিখের মধ্যে আপনার সকল টাকা ব্যয় করে ফেলেন সেক্ষেত্রে আপনি ৪৫ থেকে ৫০ দিন পর্যন্ত সময় পাবেন সেই ঋণ পরিশোধ করার জন্য।
নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে টাকা ফেরত দিলে আপনাকে কোনো সুদ দিতে হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক
বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড
বর্তমান সময়ে প্রায় সকল ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে। যে কোনো ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই সেই ব্যাংকের গ্রাহক হতে হবে। আপনার একাউন্ট ব্যতিত আপনি সেই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড পাবেন না।
কিছু ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিতঃ
ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত
আপনার ডাচ্ বাংলা ব্যাংকে এক একাউন্ট থাকলে আপনি ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা উপভোগ করতে ব্যাংক থেকে তাদের ক্রেডিট কার্ডটি সংগ্রহ করতে পারবেন। ব্যাংকটি কয়েক ধরনের ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে। আপনি আপনার ইচ্ছা এবং সুবিধা মত যে কোনোটি নিতে পারবেন।
ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে আপনাকে প্রটি মাসে ১.৫% সুদ দিতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে প্রতি বছর ১৮% সুদ প্রদান করতে হবে ব্যাংকটিকে। আপনি আপনার ক্রেডিট কার্ড নবায়ন করতে চাইলে ৫০০ টাকা ফি দিতে হবে। আপনি আপনার কার্ডের মোট টাকার ৯০% পর্যন্ত টাকা আপনার একাউন্টে যুক্ত করতে পারবেন।
ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের একটি বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি যতবার টাকা উত্তোলন করবেন ততবার আপনাকে এসএমএস পাঠানো হবে। এতে আপনি ছাড়া অন্য কেউ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করতে চায় আপনি জানতে পারবেন।
ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত
ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের বহুল পরিচিত একটি প্রাইভেট ব্যাংক। আপনার এই ব্যাংকে একাউন্ট থাকলে আপনি ব্যাংক থেকে তাদের ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। ব্র্যাক ব্যাংক কয়েক ধরনের ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে। আপনি আপনার প্রয়োজন মত যে কোনোটি নিতে পারবেন। আপনি এই ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে প্রথম বছর যেই সুদ আপনাকে ব্যাংকটিকে প্রদান করতে হবে তার ৫০% ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
ক্রেডিট কার্ডের লিমিটের টাকা ৫০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করলে আপনাকে কোনো প্রকার সুদ দিতে হবে না। নিরাপত্তার জন্য আপনাকে আপনার প্রতি বার লেনদেন এবং টাকা উত্তোলন করার সময় এসএমএস পাঠানো হবে। ব্যাংকটির কয়েক ধরণের কার্ডের জন্য সুদের পরিমাণ একেক রকম। তবে সুদের পরিমাণের সাথে ১৫% ভ্যাট যুক্ত করা হয়।
ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে প্রতিনিয়ত বোনাস এবং রিওয়ার্ড পয়েন্ট আপনার একাউন্টে যুক্ত হবে। লেনদেনের পর ক্যাশব্যাক ছাড়াও আরো অনেক অফার থাকবে। ব্র্যাক ব্যাংকের কার্ড রিপ্লেসমেন্ট ফি সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা এবং পিন ভুলে গেলে রিপ্লেসমেন্ট ফি সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা। কার্ড হিসাবে এই ফি পরিবর্তন হতে পারে।
ইস্টার্ন ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত
অন্যান্য ব্যাংকের মতো ইস্টার্ন ব্যাংকও কয়েক ধরনের ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে থাকে। আপনি যদি ইস্টার্ন ব্যাংকের গ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে আপনার সুবিধা আর যোগ্যতা অনুযায়ী আপনার জন্য যে কোনো ক্রেডিট কার্ড বেছে নিতে পারবেন।
এই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিতে হলে আপনার বেতন নূন্যতম ৩০ হাজার টাকা হতে হবে। ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ব্যাংকটি আপনি ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কন্টাক্টলেস পেমেন্ট করতে পারবেন। তবে সব স্টোরে এই সুবিধা পাবেন না। কিছু কিছু স্টোরে আপনাকে এই সুবিধা প্রদান করবে। এবংকি আপনার পিন দেওয়ারও প্রয়োজন পড়বে না। ব্যাংক থেকে আপনাকে প্রথম চেক বইটি ফ্রি দেওয়া হবে যা আপনি সেইখানে ব্যাবহার করতে পারবেন যেইখানে আপনার কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না।
এই ব্যাংকের ক্লাসিক ক্রেডিট কার্ডের একটি সুবিধা হচ্ছে আপনি যদি মোট ১৮ টি লেনদেন অথবা পেমেন্ট করেন তাহলে আপনার কোনো রিনিউয়াল ফি লাগবে না। ব্যাংকটির ভিসা ক্রেডিট কার্ড আপনাকে সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত ক্রেডিট লিমিট দিয়ে থাকে। কার্ড হারিয়ে গেলে দ্রুত নতুন কার্ড ইস্যু করতে পারবেন।
দিনে ২৪ ঘণ্টা তারা আপনাকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে। যে কোনো সময় যে কোনো প্রয়োজনে আপনি যোগাযোগ করতে পারবেন। মেসেজ দিয়ে আপনাকে সতর্ক করবে যাতে আপনি ছাড়া অন্য কেউ আপনার কার্ড ব্যাবহার করলে আপনি জানতে পারেন।
এছাড়াও, ইস্টার্ন ব্যাংকের পার্টনার হোটেল গুলোতে ৫৫% ছাড় দেয়া হবে। গয়নার দোকানে বিভিন্ন পণ্যের উপর ২০% থেকে ৩০% পর্যন্ত মূল্য ছাড় এবং বিউটি কেয়ারে ১৫% পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন।
সাউথ ইস্ট ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত
আপনি সাউথ ইস্ট ব্যাংকের গ্রাহক হলে তাদের যে কোনো ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। এই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি ব্যাংকের যে কোনো বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন। মোবাইল ফোনের মাধ্যেমে আন্তর্জাতিক রোমিং বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
ক্রেডিট কার্ডের চেক বই ব্যাবহার করে আপনি পেমেন্ট করা এবং ক্যাশ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। তারা তাদের প্রায় প্রতিটি কার্ড লোকাল এবং ডুয়াল কার্ড প্রদান করে। তাদের সর্বনিম্ন ক্রেডিটের কার্ডটি হচ্ছে ভিসা লোকাল ক্রেডিট কার্ডটি। এই কার্ডটিতে তারা ১৫% পর্যন্ত ভ্যাট যুক্ত করে।
আপনার কার্ড ব্যাবহার এবং কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন যদি ১৮ টির বেশি হয় তাহলে আপনি কোনো চার্জ ছাড়া রিনিওয়াল করতে পারবেন। এই ব্যাংকের কার্ডের জন্য মাসিক সুদের হার ১.৬৭% হয়। ১০ পৃষ্ঠার চেক বই এর জন্য ২০০ টাকা চার্জ করা হয়।
ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত
ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক তাদের ৩ টি ক্রেডিট কার্ডের যে কোনোটি নিতে পারবেন। এই ব্যাংকের সিলভার কার্ডের লিমিট হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা, গোল্ড কার্ডের লিমিট সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা এবং প্লাটিনাম কার্ডের জন্য লিমিট নির্ধারিত ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
ঝুঁকি ছাড়া কেনাকাটা করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে ইসলামী ব্যাংক। আপনি আপনার পেমেন্ট এবং লেনদেন করতে পারবেন নিরাপদ ভাবে। ভিসা গ্লোবাল অফার গুলোর মাধ্যম আপনি কেনাকাটা এবং ভ্রমণের উপর আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট পেতে পারেন। এছাড়াও, কার্ড ব্যবহার করে হোটেল, হাসপাতাল, বাস, ট্রেন ও বিমানের টিকিট বুক করলে এবং সুপারশপে কেনাকাটা করলে আপনি ডিসকাউন্ট ছাড়াও ক্যাশব্যাক পেতে পারেন।
প্রথম কার্ডটি তারা আপনাকে বিনামূল্যে প্রদান করবে। বাৎসরিক চার্জ সিলভার কার্ডের জন্য ১ হাজার টাকা, গোল্ড কার্ডের জন্য ১৫০০ টাকা এবং প্লাটিনাম কার্ডের জন্য ২ হাজার টাকা। মাসিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি সিলভার কার্ডের জন্য ৫০০ টাকা, গোল্ড কার্ডের জন্য ১ হাজার টাকা এবং প্লাটিনাম কার্ডের জন্য ১৫০০ টাকা। আপনি যদি ক্রেডিট লিমিট অভার করে ফেলেন সেক্ষেত্রে সকল কার্ডের জন্য চার্জ হবে ৫০০ টাকা।
এনসিসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত
এনসিসি ব্যাংকের গ্রাহকদের ৪ ধরণের ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। সিলভার, গোল্ড, প্লাটিনাম, সিগনেচার ক্রেডিট কার্ড। এই ব্যাংকের সিলভার কার্ডটি মধ্য আয়ের ব্যাক্তিদের জন্য। এই কার্ড ব্যাবহার করে আপনি শুধু দেশের মধ্যে লেনদেন এবং পেমেন্ট করতে পারবেন। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ১৫ টি ট্রান্জেকশন করলে রিনিউ করতে আপনাকে কোনো চার্জ দিতে হবে না।
ব্যাংক থেকে প্রথম যেই কার্ডটি এবং চেক বইটি আপনাকে দেওয়া হবে সেইটি ফ্রি। তার জন্য আপনাকে বাড়তি কোনো টাকা দিতে হবে না। আপনি এনসিসি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে যে কোনো সময় ৫০% পর্যন্ত টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আপনার যদি কার্ডটি হারিয়ে যায় তাহলে আপনি যে কোনো সময় তাদের কল করতে পারবেন কারণ তারা আপনাকে ২৪/৭ সহায়তা করবে। এবং আপনার কার্ডটি বন্ধ করে দিবে।
আপনি কার্ড অথবা কার্ড চেক বই দিয়ে পেমেন্ট করলে এবং ৪৫ দিন পর্যন্ত কোনো সুদ ছাড়া সকল কিছু উপভোগ করতে পারবেন। তবে টাকা উত্তোলন করলে চার্জ প্রযোজ্য হবে। তাদের ক্রেডিট কার্ডটি ব্যাবহার করে কেনাকাটা, কোনো কিছুর বুকিং করলে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট, অফার এবং রিওয়ার্ড পয়েন্ট ছাড়াও ক্যাশব্যাক পেতে পারেন।
ওয়ান ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত
ওয়ান ব্যাংক থেকে তারা তাদের গ্রাহকের প্রয়োজন অনুসারে ভিসা ক্লাসিক ক্রেডিট কার্ড, ভিসা গোল্ড ক্রেডিট কার্ড এবং প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে। ভিসা ক্লাসিক ক্রেডিট কার্ডের লিমিট ২৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়। এই কার্ডের বাৎসরিক/রিনিওয়াল চার্জ ১৫০০ টাকা।
তবে আপনি ১৮ বার ট্রান্জেকশন করলে আপনার রিওয়ার্ড পয়েন্ট যুক্ত হবে। তাদের ভিসা গোল্ড কার্ডের লিমিট ১ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়। এই কার্ডের বাৎসরিক/রিনিওয়াল ফি ৩ হাজার টাকা। সারা বছর ধরে ১৮ বার ট্রান্জেকশন করলে রিওয়ার্ড পয়েন্ট যুক্ত হয়।
ভিসা প্লাটিনাম কার্ডের ক্রেডিট লিমিট ২ লক্ষ টাকা হতে ১০ লক্ষ টাকা। এই কার্ডের বাৎসরিক/রিনিওয়াল ফি ৫ হাজার টাকা। লেনদেন, পেমেন্টের উপর বিভিন্ন ডিসকাউন্ট, ক্যাশব্যাক, রিওয়ার্ড পয়েন্ট যুক্ত হবে আপনার একাউন্টে।
মার্চেন্টাইল ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত
অন্যান্য ব্যাংকের মতো মার্চেন্টাইল ব্যাংকেরও কয়েক ধরনের ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। ক্রেডিট কার্ডের মাসিক সুদ ২.০৮% হয়। ক্রেডিট কার্ডের চেক বই প্রসেসিং ফি ১.২৫% এবং পিন রিপ্লেসমেন্ট করতে চাইলে ২৩০ টাকা + ভ্যাট দিতে হবে। আপনি যদি ক্রেডিট কার্ডের পেমেন্ট লেট করেন তাহলে আপনাকে ৩০০ টাকা বাড়তি দিতে হবে।
আপনি ৫০% টাকা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে কোনো এটিএম বুথ থেকে উত্তোলন করতে পারবেন। অন্যান্য ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের মতো এই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের মতো আপনি লেনদেন, পেমেন্ট করলে রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ক্যাশব্যাক পাবেন।
প্রতি লেনদেন, পেমেন্ট করলে আপনার একাউন্টে যুক্ত হবে রিওয়ার্ড পয়েন্ট। আপনি সব লেনদেনের সময় এসএমএস এলার্ট পাবেন। আর আপনি চাইলে প্রতি মাসের সকল স্টেটমেন্ট ই মেইল এর মাধ্যমে পেতে পারেন।
আইএফআইসি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত
আইএফআইসি ব্যাংকের দুইটি ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। ভিসা ক্লাসিক ক্রেডিট কার্ড এবং ভিসা গোল্ড ক্রেডিট কার্ড। গ্রাহকের প্রয়োজন এবং যোগ্যতা অনুসারে ব্যাংক গ্রাহককে যে কোনো ক্রেডিট কার্ড প্রদান করেন। এই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সুদ অনেক কম।
আরো জানুনঃ আইএফআইসি ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত
৫০ দিন পর্যন্ত আপনি টাকা উত্তোলন ব্যতিত অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করলে আপনার কোনো সুদ যুক্ত হবে না। প্রয়োজন পড়লে আপনি টাকা অগ্রীম নিতে পারবেন। ই-মেইল এর মাধ্যেমে আপনি আপনার ক্রেডিট কার্ড স্টেটমেন্ট চেক করতে পারবেন।
আপনার বাড়তি সতর্কতার জন্য আপনার প্রতি বার টাকা উত্তোলন অথবা অন্য কিছু করলে আপনার ফোনে এসএমএস পাঠানো হবে।
ক্রেডিট কার্ড নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ক্রেডিট কার্ডের লিমিট ব্যাক্তির বেতনের ২ থেকে ৩ গুন পর্যন্ত হয়।
যে সকল কাগজপত্র লাগে তা হলো:
১. যেই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিতে চান অবশ্যই সেই ব্যাংকের একাউন্ট থাকতে হবে।
২. ব্যাক্তি প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে। এবং বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
৩. চাকরিজীবীদের বেতনের রিসিট এবং ব্যবসায়ীদের মাসিক আয়ের বৈধ উৎসের প্রমাণ।
৪. ব্যাংক একাউন্টের ৬ মাসের স্টেটমেন্ট।
৫. জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
৬. সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
৭. ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি।
৮. এবং টিন সার্টিফিকেট।
সকল কাগজপত্র সহ ব্যাংক থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে ক্রেডিট কার্ড এর জন্য আবেদন করতে হবে।