আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি । আজ আমরা আলোচনা করবো বিকাশ কি ? বিকাশ একাউন্ট থাকলে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন ?
যা যা থাকছে
বিকাশ কি?
বিকাশ কি? সবাই কিন্তু কম বেশি জানি আমরা। আবার অনেকেই জানে না বিকাশ কি?
বলা যায় বিকাশের মাধ্যমে টাকা পয়সা ঘরে বসে লেনদেন করা সম্ভব। যদি আপনি আপনার ফোনে বিকাশ একাউন্ট টি খোলেন।
আরো জানুনঃ ফ্যাশন ডিজাইন কি ? কীভাবে ফ্যাশন ডিজাইন কে ক্যারিয়ার বানাবেন ?
বিকাশ হলো ব্র্যাক ব্যাংক এবং যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের অর্ন্তগত ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল এর যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
বিকাশ একাউন্ট টি বাংলাদেশ ব্যংক নিয়ন্ত্রিত পেমেন্ট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস দিয়ে আসছে।
বিকাশ একাউন্ট থাকলে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন ?
মোবাইল ফোন থাকলেই বিকাশ একাউন্ট খোলা সম্ভব এবং ঘরে বসেই সকল সুযোগ সুবিধা গুলো উপভোগ করা যায়।
- টাকা পাঠানোঃ
এই বিকাশ একাউন্ট ব্যাবহার করে টাকা আদান-প্রদান করা সম্ভব। যেকোনো স্থান, সময় ব্যাবহার করে দেশের অন্য প্রান্তে খুব সহজেই অতি দ্রুত টাকা পাঠানো যায়। তখনই আপনি টাকা পাঠাতে পারবেন যখন বিকাশ একাউন্ট টি খুলবেন।
- টাকা তোলাঃ
আপনার যদি বিকাশ একাউন্টে টাকা জমা থাকে বা কেউ টাকা টা পাঠায়েছে এখন কিন্তু তোলার প্রয়োজন পরবে।এই টাকা তুলতে হয় বাজারে আবার দেখা যায় দোকানে বিকাশের পোস্ট ছাপানো থাকে এই পোস্টার দেওয়ালে লাগানো থাকে তো আপনি এই সকল দোকানে গিয়ে টাকা তুলতে পারেন। টাকা তুলতে বেশি সময় লাগে না যেকোনো সময়ই টাকা তোলা সম্ভব।
টাকা তোলার নিয়ম ক্যাশ আউট করা যায়। আবার ব্র্যাক ব্যাংক এটিএম থেকেও বিকাশ এ টাকা তোলা যায়।সচারাচর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সকলে বাজার থেকে টাকা তোলে সল্প সময়ে কোনো ঝামেলা ছাড়া।
- টাকা জমা করাঃ
যাদেরই বিকাশ একাউন্ট আছে তাঁরাই টাকা জমা করে রাখা সুবিধা টা উপভোগ করতে পারবে।। টাকা জমা রাখলে কোনো ব্যাংকের দেওয়া লাগেনা টাকা কেটে নেই না শুধু একাউন্টেই থাকবে। টাকার খুব দরকার হলে বিকাশ একাউন্ট থেকে দোকানে গেলেই জমানো টাকা উঠাতে পারবেন।
বিকাশ হলো ডিজিটাল ওয়ালেট হিসেবে কাজ করে আরও বলা যায় ব্যাংকবিহীন ক্যাশ সিস্টেম হওয়াতে বিকাশে টাকা জমা রাখা প্রসেসটি খুবই সুবিধাজনক।
বিকাশ একাউন্টে টাকা থাকলে আপনি কি কি সুযোগ পাবেনঃ—
- রিচার্জঃ বিকাশ একাউন্ট থাকলে আপনি খুব সহজেই মোবাইলে রিচার্জ করত পারবেন।এ ক্ষেত্রে কোনো ফি প্রযোজ্য না যতখুশি তত রিচারজ করতে পারবেন।
- কেনাকাটাঃ আপনি যদি অনলাইন থেকে কোনো পণ্য কেনাকাটা করে থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট পরিশোধ করতে পারবেন।
- বিকাশের মাধ্যমে ঘরে বসে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স গ্রহণ করা, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা, যানবাহনের টিকিট কেনা সম্ভব।
- বিকাশ অফারঃ বিকাশে টাকা আদান প্রদান চললে বিভিন্ন রকমের অফার, বোনাস ও ক্যাশব্যাক ক্যাম্পেইন পাওয়া যায় এবং সাথে কেশ রিওয়ার্ড পাওয়া সম্ভব এতে আপনি বারতি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট খুলতে যা যা দরকার হয়ঃ
- একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর (গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক, টেলিটক) আপনি যে সিম টি ইউস করেন।
- বৈধ NID কার্ড। অনলাইন কপি হলেও হবে।
- একটি এনড্রোয়েড ফোন লাগবে সাথে ইন্টারনেট কানেকশন দরকার হবে।
- যার এনআইডি দিয়ে একাউন্ট খুলবেন সেই ব্যাকতির থাকতে হবে তথ্য যাচাইয়ের জন্য।
কিভাবে পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট খুলবেন?
ঘরে বসে একাউন্ট খুলতে যা যা লাগেঃ
(১)-সর্ব প্রথম বিকাশ এপস ইন্সটল করতে হবে। ২৭ এমবি লাগবে।
(২)-এপস টি ওপেন করুন। এপস এ ডোকার পর দেখবেন নিচে গালো কালার দিয়ে লেখা লগ ইন/রেজিষ্ট্রেশন বাটন থাকবে ক্লিক করতে হবে।
(৩)-পরের ধাপে আসবে মোবাইল নাম্বার।নাম্বার দিয়ে পরবর্তীতে ক্লিক করতে হবে।
(৪)- এরপর আসবে আপনার কি সিম যেমন গ্রামীনফোন,বাংলালিংক, রবি,এয়ারটেল।যে সিম আপনার তার উপর ক্লিক করুন যদি হয় রবি তাহলে রবির উপর ক্লিক করুন।
(৫)-অপারেটর বাচাইয়ের পরে,আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে। আপনার ম্যাসেজ অপশনে। তারপর আপনি এই এপে গিয়ে দেখবেন ভেরিফিকেশন কোড ও পিন নাম্বার কাউকে দিবেন না এমন লেখার নিচে দেখবেন ফাকা ঘর সেখানে আপনি আপনার ফোনে যাওয়া কোড টি দিয়ে কনফার্ম করে দিবেন।
(৬)-পরের ধাপে পাবেন একটি পেজ সেখানে লেখা থাকে বিভিন্ন ধরনের নিয়ন শর্ত বিষয়ক নিয়ে কথা।তার নিচে লেখা থাকবে আমার সম্মতি আছে সেখানে ক্লিক করুন।
(৭)-এরপরে আসবে বিকাশের আসোল রেজিষ্ট্রেশন। যা ৩ টি নিতি অনুসরণ করতে হবে।
[১]= আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের সামনের এবং পিছনের অংশের ছবি।
[২]= আনুষঙ্গিক তথ্যাবলী।এবং
[৩]= আপনার ছবি খুব কাছাকাছি থেকে।
(৮)- এরপরে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড এর ছবি চাইবে তখন একটা ফ্রেম আসবে সেই সময় আপনি ফোনে এই NID কার্ডের ছবি টি প্রবেশ করান।
ছবিটি যেন পরিষ্কার ভাবে হয়।ঠিকঠাক হলে সাবমিট করুন।
(৯)- আবার লেখা আসবে আগের মতোই বাট সামনে হয়ে গেলে আসবে NID কার্ডের পিছনের দিকের ছবি পরিষ্কার ভাবে। তারপর সাবমিট করুন।
(১০)–ছবিগুলো সাবমিট হলে।পরের ধাপে আসবে
NID বা জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য অনুসারে সকল তথ্য নিশ্চিত করুন।যদি কিছু ভুল থাকে সংসধন করে নিন তারপর পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
(১১)- পরের ধাপে আসবে লিঙ্গ, আয়ের উৎস,মাসিক আয়, পেশা এভাবে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করুন তারপর পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
(১২)- এই ধাপে আসবে —যার NID কার্ড তার সেলফি ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে হবে। ছবি তোলার জন্য ৩ টি নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে । যা ছবি তোলার সময় দেখতে পাবেন।ছবি তুলে ক্লিক করুন এরপর পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যান
(১৩)- এরপরে মুখমণ্ডল ক্যামেরার খুব কাছাকাছি এনে সঠিক ফ্রেমে অনুসরণ করে ছবি তুলুন।
(১৪)- তারপর বিকাশের নিকট আপনার প্রদান করা তথ্য সঠিক এবং সত্য কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
(১৫)- পরিশেষে আসবে কনফার্মেশন এসএমএস এর জন্য অপেক্ষা করুন। এসএমএস পাওয়ার পর লগ ইন করলেই সাথে সাথে আপনার বিকাশ একাউন্ট হয়ে যাবে।
এরপরে আপনি আপনার আদান প্রদান সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।